এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়ছেই না ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্টদের। দুর্নীতির দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করা সেপ ব্লাটারের পর আশার বাণী শুনিয়ে সভাপতির পদে বসেছিলেন সুইস ফুটবলের অন্যতম প্রশাসক জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
এবার দুর্নীতির অভিযোগ খোদ তার নামে। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করে সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। সেখানেই বেঁধেছে বিপত্তি। তদন্তের ব্যাপারে ২০১৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল লাওবের সঙ্গে বার্নের এক হোটেলে গোপন এক বৈঠকে বসেন ফিফা বস জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
এরপর এই তিন বছরে আরো দুই বার সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসেন এই ফুটবল প্রশাসক। কি এমন গোপন বিষয়। বৈঠকে কি আলোচনাই হয়েছে? গুঞ্জন উঠছে নানা। তবে এখনো জানা যায়নি এই দুই কর্তার মাঝে আসলে কি আলোচনা হয়েছে।
তবে দুর্নীতির তদন্তে যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে তা এখন অনেকটা পরিষ্কার। সম্প্রতি এই তদন্তের প্রেক্ষিতে ইনফান্তিনোর সাথে সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের গোপন বৈঠকের কারণে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল লাওবেকে। বেআইনি কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়ায় গেলো সপ্তাহে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগও করেন তিনি।
তার পদত্যাগের পর বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয় সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। বিষয়গুলো তদন্ত করে নতুন প্রসিকিউটর স্টেফান কেলার ফৌজদারি মামলা করার অনুমতি চায়। কারণ এই দুই কর্তার বৈঠকে দুর্নীতির আভাস পাওয়া গেছে। তার প্রেক্ষিতেই মামলা হলো দু'জনের বিরুদ্ধে।
মামলার ব্যাপার আদালত জানায়, ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে চলা এক তদন্তে মিথ্যা বলে জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। যা ছিল তার বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ।
যদিও, এসব বিষয়ে আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছন দুই কর্তা।
এর আগে ২০০৯ সাল থেকে উয়েফার মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসার পর ২০১৬ সাল থেকে ফিফা সভাপতির আসনে বসে আছেন এই সুইস প্রশাসক। এখন দেখার পালা এই তদন্তের সমাপ্তি হয় কোথায়! নাকি সেপ ব্লাটারের মতো দুর্নীতির দায়ে তাকেও ছাড়তে হয় সভাপতির পদ। তার সিদ্ধান্ত অবশ্য দিবে সুইস আদালতই।
Thank You.